গুড আর্থ - পার্ল এস. বাক | The Good Earth - Pearl S. Buck
সার সংক্ষেপঃ নোবেল পুরস্কার পাওয়া এই উপন্যাসটিকে চিরায়ত গ্রন্থ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কেননা এই লেখাটি কালের গন্ডি পেরিয়ে মহাকালের গন্ডিতে প্রবেশ করেছে। ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে চীনের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাসটির কেন্দ্রে রয়েছে ওয়াঙ লাঙ নামের একজন চাষী এবং তার স্ত্রী ওলান। প্রকৃতির বৈরিতার সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি যেন তারা। অনাবৃষ্টি, দুর্ভিক্ষ কিংবা অতিবৃষ্টি-এসকল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে জীবনের ছন্দ-পতন। প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে জমিদার প্রথা, কৃতদাস প্রথা, শ্রেণী বৈষম্য। নিরলস পরিশ্রমের ফলে একদিন ওয়াঙ লাঙ একজন সাধারণ কৃষক থেকে হয়ে ওঠে জমিদার। আর তার এই উত্থানের সাথে সাথে বদলে যায় তার জীবন ধারা। এই উত্থানে সমান ভাবে অংশগ্রহনকারী যে স্ত্রী, যার অক্লান্ত কঠোর শ্রমই ওয়াঙ লাঙ কে একজন সাধারণ চাষী থেকে তুলে আনে ধনীব্যক্তিতে তাকেই করে অবজ্ঞা-অবহেলা। একজন নারী বলতে যে সমাজে কেবলই গৃহস্থলীর কাজ আর সন্তান উৎতপাদনের প্রাণী মনে করে, যে সমাজে নারী গৃহপালিত পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট সেই সমাজে ওলান এমন এক নারীর মূর্ত প্রতিচ্ছবি যে কিনা স্বল্পবাক কিন্তু তার স্বপ্ন সীমাহীন। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সদা প্রস্তুত, সদা পরিশ্রমী একজন মানুষ। তীক্ষ্ণ আত্মসম্মানবোধ সম্পন্না একজন নারী। “বেশ, তুমি বুড়ো জমিদারের মহলে বাস করতে পারো। তার আদর-সোহাগ পেতে পারো। কারণ, রূপসী বলে তোমাকে ধরা হত; কিন্তু আমি আমার স্বামীর কাছে স্ত্রীত্বের সম্মান পেয়েছি, আমি আমার স্বামীর সন্তান গর্ভে ধরে মাতৃত্বের সম্মান পেয়েছি। আর তুমি দাসীই রয়ে গেলে, তোমার দাসীত্ব আর ঘুচল না।“ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তার এই উক্তিটিই তার ব্যক্তিত্বের প্রখরতাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরে। কিন্তু মাটির টান ভোলা যায় না। যে রুক্ষ মাটির বুকে একদিন স্বপ্নের বীজ বুনে বুনে কেটে গেছে ওয়াঙ লাঙের সারাটি বেলা সে মাটির টানে জীবন সায়াহ্নে সে ফিরে আসে। মাটি কখনো বেঈমানি করে না… “মাটি তার জীবনে একমাত্র সত্য। তার সত্তার সাথে মাটি মিশে এক হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে একমুঠো মাটি হাতে নিয়ে বসে থাকে, নিষ্প্রাণ মাটি তার হাতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে; একমুঠো্ মাটির সম্পদে তার বুক তৃপ্তিতে ভরে যায়। মাটি আর কফিনের ধ্যানে সে এখন আত্মসমাহিত। শক্ত সুন্দর কফিন আর দাক্ষিণ্য-সম্পদ-দাত্রী ধরণীর ধূলি তাকে কোলে তুলে নেবে বলে অসীম ধৈর্যে প্রতীক্ষা করছে।”
সার সংক্ষেপঃ নোবেল পুরস্কার পাওয়া এই উপন্যাসটিকে চিরায়ত গ্রন্থ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কেননা এই লেখাটি কালের গন্ডি পেরিয়ে মহাকালের গন্ডিতে প্রবেশ করেছে। ঊনিশ শতকের গোড়ার দিকে চীনের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে রচিত উপন্যাসটির কেন্দ্রে রয়েছে ওয়াঙ লাঙ নামের একজন চাষী এবং তার স্ত্রী ওলান। প্রকৃতির বৈরিতার সাথে লড়াই করে বেঁচে থাকা জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি যেন তারা। অনাবৃষ্টি, দুর্ভিক্ষ কিংবা অতিবৃষ্টি-এসকল প্রাকৃতিক দুর্যোগের সাথে জীবনের ছন্দ-পতন। প্রকটভাবে ফুটে উঠেছে জমিদার প্রথা, কৃতদাস প্রথা, শ্রেণী বৈষম্য। নিরলস পরিশ্রমের ফলে একদিন ওয়াঙ লাঙ একজন সাধারণ কৃষক থেকে হয়ে ওঠে জমিদার। আর তার এই উত্থানের সাথে সাথে বদলে যায় তার জীবন ধারা। এই উত্থানে সমান ভাবে অংশগ্রহনকারী যে স্ত্রী, যার অক্লান্ত কঠোর শ্রমই ওয়াঙ লাঙ কে একজন সাধারণ চাষী থেকে তুলে আনে ধনীব্যক্তিতে তাকেই করে অবজ্ঞা-অবহেলা। একজন নারী বলতে যে সমাজে কেবলই গৃহস্থলীর কাজ আর সন্তান উৎতপাদনের প্রাণী মনে করে, যে সমাজে নারী গৃহপালিত পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট সেই সমাজে ওলান এমন এক নারীর মূর্ত প্রতিচ্ছবি যে কিনা স্বল্পবাক কিন্তু তার স্বপ্ন সীমাহীন। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে সদা প্রস্তুত, সদা পরিশ্রমী একজন মানুষ। তীক্ষ্ণ আত্মসম্মানবোধ সম্পন্না একজন নারী। “বেশ, তুমি বুড়ো জমিদারের মহলে বাস করতে পারো। তার আদর-সোহাগ পেতে পারো। কারণ, রূপসী বলে তোমাকে ধরা হত; কিন্তু আমি আমার স্বামীর কাছে স্ত্রীত্বের সম্মান পেয়েছি, আমি আমার স্বামীর সন্তান গর্ভে ধরে মাতৃত্বের সম্মান পেয়েছি। আর তুমি দাসীই রয়ে গেলে, তোমার দাসীত্ব আর ঘুচল না।“ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে তার এই উক্তিটিই তার ব্যক্তিত্বের প্রখরতাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরে। কিন্তু মাটির টান ভোলা যায় না। যে রুক্ষ মাটির বুকে একদিন স্বপ্নের বীজ বুনে বুনে কেটে গেছে ওয়াঙ লাঙের সারাটি বেলা সে মাটির টানে জীবন সায়াহ্নে সে ফিরে আসে। মাটি কখনো বেঈমানি করে না… “মাটি তার জীবনে একমাত্র সত্য। তার সত্তার সাথে মাটি মিশে এক হয়ে গেছে। মাঝে মাঝে একমুঠো মাটি হাতে নিয়ে বসে থাকে, নিষ্প্রাণ মাটি তার হাতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে; একমুঠো্ মাটির সম্পদে তার বুক তৃপ্তিতে ভরে যায়। মাটি আর কফিনের ধ্যানে সে এখন আত্মসমাহিত। শক্ত সুন্দর কফিন আর দাক্ষিণ্য-সম্পদ-দাত্রী ধরণীর ধূলি তাকে কোলে তুলে নেবে বলে অসীম ধৈর্যে প্রতীক্ষা করছে।”
No comments:
Post a Comment